নিজস্ব প্রতিবেদক; ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরও এক পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল নূরে আজাদ। তিনি ছিনতাইকারীদের মারধর ও পিপার স্প্রেতে আহত হয়েছিলেন। এ নিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাত পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আজ রোববার ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিমউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নুরে আজাদসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। নুরে আজাদের সঙ্গে চার পুলিশ সদস্য ঘটনার দিন ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু তিনি একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ডিউটিতে চারজন থাকা শর্তেও তিনি কেন একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা তদন্তের বিষয়। কমিশনার মহদোয়ের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অপর পুলিশ সদস্যরা হলেন- সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভূঁইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফ হাসান, জয়নাল ও আব্দুস সাত্তার।
গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে করে আসা চার জঙ্গি পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে ব্লগার অভিজিৎ রায় ও জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়।
ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।