Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন বিএনপির এমপিদের শূন্য আসনে

প্রকাশিত:রবিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপির এমপিদের ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে ‘শূন্য’ ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করা হবে। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি, উনারা পদত্যাগ করেছেন। আসন শূন্য হওয়ার কোনো গেজেট পাইনি। যদি সত্যিকার অর্থেই উনারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। গেজেট হলে তারপর আমাদের কাজ শুরু হবে।’

কয়েকমাসের মধ্যেই আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এর মধ্যেই উপ-নির্বাচন হওয়ার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। গেজেট পাওয়ার পর দেখা যাবে যে দুই মাস লাগতে পারে, দেড় মাসও লাগতে পারে। নির্বাচন করতেই হবে। কারণ আসন শূন্য রাখার কোনো সুযোগ নেই।

ইভিএম নিয়ে বিএনপির অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উনারা আগে থেকেই অনাস্থার কথা বলেছেন। আবার অনেকের আস্থা আছে। আমাদের কাজ হলো সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে যেটা সঠিক সেটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া। ৩৯টি নিবন্ধিত দল আছে। সবাই যদি ইভিএম বাতিল চায় যে প্রক্রিয়া আছে সেটাই হবে। আর একটা দুইটা দল যদি না চায় অন্যরা যদি চায় তাহলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যেটা হয়, সেটাই করতে হবে।

বিএনপির করা বর্তমান কমিশনের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন চাহিদা থাকতে পারে। আমরা কাজের মাধ্যমে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করব। আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব আছে কি না সেটা দেখেন। ইকুয়াল আচরণ করছি কি না সেটা দেখেন। আমাদের উদ্যোগ সবসময় থাকবে, যখন যখন মনে হবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দরকার, তখন তো অবশ্যই করব।’

আজ রোববার দুপুরে বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এদিন পদত্যাগ করা সংসদ সদস্যরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং বিএনপির সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

তবে বাকি দুজনের একজন (আবদুস সাত্তার) অসুস্থ এবং একজন (হারুন অর রশীদ) বিদেশে অবস্থান করায় তাদের স্বাক্ষর করা পদত্যাগপত্র নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করেননি স্পিকার।

এর আগে গতকাল শনিবার বিএনপির ঢাকার গণসমাবেশে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির সাত সদস্য।


আরও খবর



বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি সরকারের লুটপাটেরই বহি:প্রকাশ: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি সরকারের লুটপাটেরই বহি:প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৪ বছরে ১৩ বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পর গত জানুয়ারি মাসে ১৯ দিনের ব্যবধানে দু্ই বার এবং সর্বশেষ ২৮ ফেব্রুয়ারি আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

নির্বাহী আদেশে আবারও বিদ্যুতের ৫ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিতে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের চরম দুর্ভোগে, দুর্দিনে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকে হতাশা ও অন্ধকারে ধাবিত করছে। দুর্নীতি, লুটপাটের দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত, ভ্রান্তনীতি, ব্যর্থতা এবং অযোগ্যতার কারণে জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বিদ্যূতের এই মূল্য বৃদ্ধি সরকারের লুটপাটেরই বহি:প্রকাশ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মূল্য বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি কলকারখানা ও কৃষিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। প্রতিটি পণ্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়বে, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের প্রতিটি নীতি হচ্ছে হরিলুটের নীতি, জনগণ মরে যাক, তাতে সরকারের কিছুই আসে যায় না। গণবিরোধী সরকারের অঙ্কটি খুবই সোজা। তারা চুরি করে ক্ষতির টাকা জনগণের পকেট কেটে তা পূরণ করছে।’

তিনি আরও বলেন, আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এর ‘ব্যাড ইম্প্যাক্ট’ খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সারাদেশের মানুষ এই ঘোষণার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। জনগণ বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির এই গণবিরোধী ও অযৌক্তিক সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে। দেশের মানুষের নিকট বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের কোনো জবাবদিহিতা ও কর্তব্যবোধ নেই বলেই জনগণের ওপর জুলুম চালানো হচ্ছে। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান বিনা ভোটের সরকার জবাবদিহিতার তোয়াক্কা করে না বলেই একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠলেও সরকার তা পরোয়া করে না। দুর্নীতি ও লুটপাটের ওপর নির্ভর করার জন্য জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনায় না নিয়ে বিদ্যূতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যখন ক্ষুব্ধ, তখন আবারও নতুন করে বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপিসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলসমূহ বিদ্যুৎ, গ্যাস ও চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবং জনদুর্ভোগ সৃস্টিকারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করে দাবি আদায় করতে হবে।


আরও খবর



ইরান যুদ্ধবিমান কিনছে রাশিয়া থেকে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে। দেশটি ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন ছাড়াও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে আসছে বলে পশ্চিমাদের অভিযোগ। তবে এবার রাশিয়া থেকে ইরান অস্ত্র কিনছে বলে খবর বেরিয়েছে।

গতকাল শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে উন্নত এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে পৌঁছেছে ইরান। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ইরানি মিশনের বরাত দিয়ে আইআরআইবি জানায়, এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রযুক্তিগতভাবে ইরানে গ্রহণযোগ্য এবং ইরান এই যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করেছে।

তবে এই চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আইআরআইবি বলছে, বিভিন্ন দেশ থেকে ইরান সামরিক যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে কথা বলছে। তবে তারা দেশের নাম প্রকাশ করেনি।

গত বছরের জুলাইতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলী খামেনির সঙ্গে দেখা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার ব্যাপারে জোর দেন।


আরও খবর



‌‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না’

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না বলেও জানান তিনি।

আজ বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সারাদেশের সকল উপজেলায় একযোগে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর, বরিশালের বানারীপাড়া ও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে উদ্যোগটা নিয়েছি বাংলাদেশে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না। বিশেষ করে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি ২০২০ সালে, তখন আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল এই দেশের গৃহহীন মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেব। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ দিতে পারছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারা অনেক আনন্দের।’

আওয়ামী লীগ জনগণের দল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।’

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকে আপনারা তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব।’

১৯৯১ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে ছিলেন। সে সময় বিএনপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এদিন মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ১৫৯টি উপজেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেন। গেল বছর মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে গণভবনসহ বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জাপানে যেতে কত খরচ হবে, জানাল সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক ;বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে জাপান যেতে একজন কর্মীর মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হবে। সরকারিভাবে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া গতিশীল ও আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে এ ব্যয় নির্ধারণ করেছে সরকার।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে গতকাল সোমবার এ তথ্য জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিমুল কুমার সাহা।

আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে জাপানে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া গতিশীল ও আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘সিলেকশন পূর্ববর্তী প্রশিক্ষণ ও সিলেকশন পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ব্যয়’ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ব্যয় অনুযায়ী, জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণ ফি ধরা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা, প্রাক-বহির্গমন প্রশিক্ষণ ফি ৪০ হাজার টাকা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা আট হাজার টাকা, পাসপোর্ট ও প্রসেসিং ফি ১২ হাজার টাকা, দরখাস্ত ও সব ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি ৪০ হাজার টাকা, কল্যাণ ফি সাড়ে তিন হাজার টাকা, নিবন্ধন ও অন্যান্য ফিতে খরচ হবে পাঁচ হাজার টাকা।

এতে সব মিলিয়ে খরচ হবে এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

জাপানে জনসংখ্যা প্রতিনিয়তই কমছে। এতে শ্রম ঘাটতি মোকাবিলায় বিদেশ থেকে শ্রমশক্তি আমদানির ওপর দেশটি নজর দিয়েছে। আর এতে জাপানের শ্রমবাজারে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য।


আরও খবর



ঢাকা দূতাবাসের সাবেক ২ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করল সৌদি আরব

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুষ নিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার সৌদি দূতাবাসের দুই সাবেক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকার সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের সাবেক প্রধান ও উপরাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদাহি আল-শামারি এবং কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি। আজ রোববার সৌদি আরবের 'আরব নিউজ' সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, এই দুই কর্মকর্তা বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল ঘুষ নিয়েছেন যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৫৪ কোটি টাকার সমান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার বিনিময়ে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তা ৫ কোটি ৪০ লাখ রিয়াল আদায় করেছেন। এই অর্থের একটি অংশ সৌদি আরবে পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে এবং বাকিটা সৌদি আরবের বাইরে বিনিয়োগ করেছেন।

রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে ঘুষ নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার অভিযোগে সৌদি দূতাবাসের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্ত হওয়া তৃতীয় কর্মকর্তার নাম জানা যায়নি।

পরিচয় প্রকাশ না করে সৌদি আরবের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ভিসা বাণিজ্যের ব্যাপারে দেশটির তদারকি এবং দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিয়েছে।

তারা জানিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে ঢাকার সৌদি দূতাবাস রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো থেকে প্রতিটি ভিসা দেওয়ার জন্য ২২০-২৫০ মার্কিন ডলার আদায় করত।

বাংলাদেশ থেকে গত বছর ৬ লাখ ১২ হাজারের বেশি শ্রমিক সৌদি আরবে গেছেন। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গেছেন ৮৫ হাজার ৩১৯ জন।


আরও খবর