
নিজস্ব প্রতিবেদক; নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপির এমপিদের ছেড়ে দেওয়া
আসনগুলোতে ‘শূন্য’ ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করা হবে। আজ রোববার
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন
তিনি।
এ বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি, উনারা
পদত্যাগ করেছেন। আসন শূন্য হওয়ার কোনো গেজেট পাইনি। যদি সত্যিকার অর্থেই
উনারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন
হবে। গেজেট হলে তারপর আমাদের কাজ শুরু হবে।’
কয়েকমাসের মধ্যেই আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এর মধ্যেই উপ-নির্বাচন হওয়ার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। গেজেট পাওয়ার পর দেখা যাবে যে দুই মাস লাগতে পারে, দেড় মাসও লাগতে পারে। নির্বাচন করতেই হবে। কারণ আসন শূন্য রাখার কোনো সুযোগ নেই।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উনারা আগে থেকেই অনাস্থার কথা বলেছেন। আবার অনেকের আস্থা আছে। আমাদের কাজ হলো সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে যেটা সঠিক সেটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া। ৩৯টি নিবন্ধিত দল আছে। সবাই যদি ইভিএম বাতিল চায় যে প্রক্রিয়া আছে সেটাই হবে। আর একটা দুইটা দল যদি না চায় অন্যরা যদি চায় তাহলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যেটা হয়, সেটাই করতে হবে।
বিএনপির করা বর্তমান কমিশনের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন চাহিদা থাকতে পারে। আমরা কাজের মাধ্যমে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করব। আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব আছে কি না সেটা দেখেন। ইকুয়াল আচরণ করছি কি না সেটা দেখেন। আমাদের উদ্যোগ সবসময় থাকবে, যখন যখন মনে হবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দরকার, তখন তো অবশ্যই করব।’
আজ রোববার দুপুরে বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এদিন পদত্যাগ করা সংসদ সদস্যরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং বিএনপির সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
তবে বাকি দুজনের একজন (আবদুস সাত্তার) অসুস্থ এবং একজন (হারুন অর রশীদ) বিদেশে অবস্থান করায় তাদের স্বাক্ষর করা পদত্যাগপত্র নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করেননি স্পিকার।
এর আগে গতকাল শনিবার বিএনপির ঢাকার গণসমাবেশে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির সাত সদস্য।