Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

৭ই মার্চের ভাষণ নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিল: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতি‌বেদক: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে রচনা করেছিলেন রাজনীতির মহাকাব্য। ঐতিহাসিক সে ভাষণ নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে রাতারাতি সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিল।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন তিনি। সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘৭ই মার্চের ভাষণ কোনো সাধারণ জনসভার ভাষণ ছিল না। এটি ছিল স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত বাঙালি জাতির উদ্দেশ্যে জাতীয় মুক্তি তথা স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে বঙ্গবন্ধুর লড়াইয়ের চূড়ান্ত আহ্বান।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘কী ছিল এই ভাষণে? এই ভাষণে ছিল আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের পূর্ণ দিক-নির্দেশনা। এ ভাষণ প্রকৃত অর্থেই ছিল বাঙালির স্বাধীনতার কূটনৈতিক ঘোষণা। যাতে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনকে কেউ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বলতে না পারে। বাঙালির জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে হাজার বছর ধরে লালিত আশা-আকাঙ্ক্ষা, আন্দোলন-সংগ্রাম, স্বপ্ন ও স্বপ্ন রূপায়ণের এক নিখুঁত পরিকল্পনা এই ভাষণ।

তিনি বলেন, ‘উপস্থিত লাখ লাখ মুক্তিকামী জনতা সেদিন বঙ্গবন্ধুর ইঙ্গিত বুঝে পরবর্তী কর্তব্য নির্ধারণ করে নিয়েছিলেন। তারই প্রত্যক্ষ ফসল দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত লাল-সবুজের স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘৭ই মার্চ শুধু আমাদের জাতীয় জীবনে নয়, বিশ্ব-ইতিহাসেও এক মহিমান্বিত দিন। কারণ বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ আজ জাতিসংঘের ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব-ঐতিহ্য দলিল। এ স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্যে এক বিরল সম্মান ও গৌরবের স্মারক।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে ছন্দময় শব্দের ঝংকারে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির আবেগ, স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষার এক মহাকাব্য। শব্দ চয়ন থেকে শুরু করে যার প্রতিটি শব্দ উচ্চারণে ছিল বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা আর হৃদয় উৎসারিত তেজস্বিতা ও সম্মোহনী ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

কে এম খালিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের এ ভাষণ তার গভীর জীবনবোধের পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী চেতনা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার দর্শন ও কূটনৈতিক বুদ্ধির স্বাক্ষর বহন করে। তাই এই ভাষণ শুধু বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের দলিল নয়, বাঙালির মুক্তির চেতনারও প্রতীক।

আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের সম্পূর্ণ ভাষণের ভিডিও  প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা শেষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।


আরও খবর



ডেমরা আল-আমিন রোডে সিএনজি চালক নিখোঁজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

এ.আর হানিফঃ রূপগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবহন করতে ট্রিপ নিয়ে রওনা হয়ে গত ৫ দিন যাবত নজরুল ইসলাম (৪১) নামে সিএনজি চালক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৩মে মঙ্গলবার রাতে ডেমরা থানার আল-আমিন রোড এলাকায় এ নিখোঁজের ঘটনাটি ঘটে। অনেক স্থানে খোঁজাখুজি করে নিখোঁজ সিএনজি চালক ও তার সিএনজি অটোরিকশার কোন সন্ধান না পেয়ে এ ব্যাপারে তার পরিবারের সদস্যরা যাত্রাবাড়ি ও ডেমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি বা নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করতে গেলে নানা জটিলতা দেখিয়ে কোন আইনী সহায়তা পায়নি।

নিখোঁজ সিএনজি চালক নজরুল ইসলাম ডেমরা থানার ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ডস্থ  আল-আমিন রোড এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসছে নিখোঁজ নজরুল ইসলামের ছেলে হাবিব গনমাধ্যমকে জানান, আমার পিতা প্রতিদিনের মত গত মঙ্গলবার র নারায়ণগঞ্জ থ-১১-১১৬২ নম্বারে একটি সিএনজি নিয়ে রূপগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবহন করার জন্য ট্রিপ নিয়ে  রওনা হয়। কিন্তু গত কয়েক দিন পার হলেও সে বাড়িতে ফিরেনি। অনেক স্থানে খোঁজাখুজি করে আমার পিতার কোন হদিস না পেয়ে এ ব্যাপারে আমি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করতে গেলে যাত্রাবাড়ি বা ডেমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি নেয়নি।

পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে না পেয়ে নিখোঁজ নজরুল ইসলামের পরিবার নানা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে নিখোঁজ নজরুল ইসলামের সন্ধ্যান চেয়েছেন তার ছেলে হাবিব।নিখোঁজ সিএনজি চালক নজরুল ইসলামের সন্ধ্যান পেলে তার ছেলে হাবিব এর মোবাইল ফোন নং ০১৭৮৩-৭৬৫০৫৪ তে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন ।


আরও খবর



জনগণ এখন নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image
জসীমউদ্দীন ইতি: বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি অত্যন্ত সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। জনগণ এখন তার নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে পার্লামেন্টে আইনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি পাশ করে। এর পরে পরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালে সেই বিধান অনুযায়ী সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হয়েছে। তখন কোন অরাজকতার সৃষ্টি হয় নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে এই বিধান অমান্য করে দলীয়ভাবে ক্ষমতায় থেকে পরপর দুটি নির্বাচন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনগুলো দিয়েছে যেগুলোতে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি কারণ তারা সুষ্ঠভাবে নির্বাচন দিতে ব্যর্থ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সারাদেশে নির্যাতন, গ্রেফতার সহ সড়যন্ত্রমূলক ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। বিএনপির প্রতিটি নেতৃবৃন্দের বাড়িতে তারা তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়াও অপচেষ্টা করছে। এইভাবে তারা আগের রাত্রেই ভোট করে ফেলতেছে। বিরোধীদল যেন সামনে দাড়াতে না পারে তাই তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলেছে।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পৌর শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শাখার সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরো বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতেছি দলীয়ভাবে ক্ষমতায় থেকে এরকম কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবেনা। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে জনগনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, তাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। স্বাধীনভাবে নিজের ভোট তারা যাকে খুশি তাকে দিতে পারবে আমরা এরকম নির্বাচন চাই। সেই লক্ষে আমরা আন্দোলন করে চলেছি। এই আন্দোলনে হাজার হাজার নির্দোশ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তারপরেও আমরা থেকে থাকিনি। 
এসময় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



রদ্রিগোর জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে সফল রিয়াল মাদ্রিদকে স্প্যানিশ ঘরোয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসর কোপা দেল রে’র শিরোপা জিততে ৯ বছর অপেক্ষা করতে হলো। ফাইনালের মঞ্চে ওসাসুনাকে রদ্রিগোর জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ২০১৪ সালের পর এই প্রতিযোগিতার শিরোপা পুনরুদ্ধার করল গ্যালাকটিকোরা।

সেভিয়ায় শনিবার রাতে ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল। তবে গোল হজমের পর দারুণ লড়াই করল ওসাসুনা। তারা সমতা ফিরিয়ে লড়াই জমিয়েও তুলেছিল, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। শেষ পর্যন্ত রিয়াল ২০তম শিরোপা ঘরে তোলে। এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ৩১টি শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। আতলেতিক বিলবাও ২৩টি জিতে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে। রিয়াল তৃতীয়স্থানে।

এদিন খেলার ১ মিনিটে ৪৭ সেকেন্ডের মাথায় দুই ব্রাজিলিয়ানের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় রিয়াল। ওসাসুনার দুই খেলোয়াড়ের বাধা এড়িয়ে বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে কাট-ব্যাক করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। ছয় গজ বক্সের মুখে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান অরক্ষিত রদ্রিগো।

তবে ধাক্কা সামলে দারুণ ফুটবল খেলতে থাকে ওসাসুনা। বেশ কয়েকবার ভালো সুযোগও তৈরি করে তারা। অবশেষে ৫৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে দলটি। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত হাফ-ভলিতে গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার লুকাস তোরো।

কিন্তু ওসাসুনার সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ টেকেনি। ৭০তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় রিয়াল। বাঁ দিকের বাইলাইন থেকে ভিনিসিউসের কাট-ব্যাক ক্লিয়ার করলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি ওসাসুনা। টনির ক্রুসের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান রদ্রিগো, বাকিটা অনায়াসে সারেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।


আরও খবর



সৈয়দপুরে খেলার মাঠ দখল করে মেলার আয়োজন,খেলোয়ারদের ক্ষোভ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর ( নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে খেলার মাঠ দখল করে সেখানে চলছে মেলার আয়োজন। শহরের অফিসার্স কলোনি এলাকার ফাইভ স্টার মাঠে খুঁড়াখুঁড়ি প্রায় শেষের পথে। আগামী পহেলা জুন এই মেলাটি উদ্ভোদন হতে যাচ্ছে। একারনে ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খেলোয়াড় সহ স্হানীয়রা।

প্রতিবাদ কারীরা বলেন, শহরের ফাইভ স্টার মাঠটিতে খেলাধুলা করে সৈয়দপুরের অনেকে দেশের নামি-দামি টিমে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। অনেকে সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় টিমেও। কিন্তু শহরের একটি অসাধু চক্র সম্প্রতি সেই সুনামকে ক্ষুন্ন করতে ওই মাঠে মেলার আয়োজনের নামে মাঠ খুঁড়াখুঁড়ি করে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি করেছে, যাতে করে কেউ আর ওই মাঠে খেলাধুলা করতে না পারে। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাঠটিতে দোকান বসার জন্য মাটি কেটে বড়বড় গর্ত করা হয়েছে। কোথাও দেয়া হয়েছে ইট,সিমেন্ট দিয়ে গাঁথুনি।আবার কোথাও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অবকাঠামো। বসানো হয়েছে নাগর দোলা সহ বসানো হচ্ছে মরন কুপ। এই মাঠের পাশেই রয়েছে বিমান বন্দর সড়ক। এর ৫০০ গজের মধ্যে উপজেলা পরিষদ, সেনানিবাস, বিগ্গান কলেজ, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।অনেকটা স্পর্শকাতর এলাকায় এই মাঠটি।অথচ এই মাঠেই চলছে মাটি খুঁড়াখুঁড়ি করে মেলার আয়োজন। 

সৈয়দপুরের কৃতিসন্তান ও এক সময়ের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় বাবলু জানান, যারা ফাইভ স্টার মাঠটি মেলার নামে খুঁড়াখুঁড়ি করছে তারা খেলোয়াড়দের শত্রু। প্রধান মন্ত্রীর শত্রু। কারন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলোয়াড়দের খেলার জন্য উৎসায়িত করেন এবং খেলার জন্য কোটি কোটি টাকার অনুদান দিয়ে চলেছেন। আর সেই খেলোয়াড়দেরই ক্ষতি গ্রস্ত করছের মেলার আয়োজকরা। মেলার আয়োজক ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকি জানান,মেলার মাঠ খুঁড়াখুঁড়ির কারনে খেলোয়াড়দের কিছুদিন সমস্যা হতে পারে কিন্তু করার কিছু নাই। সৈয়দপুর বাসীদের বিনোদনের জন্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে স্হানীয়রা বলেন, খেলোয়াড়দের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট করে বিনোদনের আয়োজন করার মানে কি  ?  বিনোদনের নামে নিজেদের পকেট ভারি করতেই মেলার আয়োজন নাকি এ প্রস্ন খেলোয়াড় সহ স্হানীয়দের।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিন এর দেখা না পেয়ে কথা হয়,সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভুমি) আমিনুল ইসলামের সাথে, তিনি বলেন, মেলা আয়োজনের ব্যপারে আমি কিছুই জানিনা। বিষয় টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। খেলোয়াড় ও স্হানীয়দের ক্ষতি হলে সেটি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

আরও খবর



অস্ত্র মামলায় আরাভ খানের ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: আলোচিত দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ১৪ নম্বর মেট্রো বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামির ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ৭ মে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ঠিক করেন আদালত। মামলায় আরাভ খান পলাতক রয়েছেন। এ কারণে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

গত ২৮ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। পলাতক থাকায় আরাভ খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।

মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলিভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।

এ ঘটনায় ওইদিনই আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু। পরবর্তী সময়ে তিনি জামিনে পলাতক হন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১ মার্চ আরাভ খানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।

একই বছরের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান আরাভ। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর আরাভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

উল্লেখ্য, আরাভ খান পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলা প্রধান আসামি। সেই মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।


আরও খবর