Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালো বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর কোরবানির জন্য পশু আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জয়পুরহাটে নাশকতা ও হত্যা মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৬১ নেতাকর্মী কারাগারে এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ -এ ‘সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান’ স্বীকৃতি পেল আইফার্মার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সোমবার

২১ ডিসেম্বর রাসূলেনোমা ওয়াইসী (রহ.) ওরস শরীফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :আগামী ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ৬ পৌষ, ১৪৩০ রোজ বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার শেরখালি উকিলপাড়া আওলাদে ওয়াইসী পাক দরবার শরীফে উপমহাদেশের মহান সূফী সাধক, মুর্শিদে মোকাম্মেল, হাদিয়ে জামান, রাহনোমায়ে শরীয়ত-তরিকত, আশেকে রাসুল (সা.), ফানাফির রাসুল (সা.) , কুতুবুল এরশাদ, কুতুবুল ওয়াহদাত, কুতুবুল আলম, বিশ্ববরেণ্য রাসুলনোমা পীর আল্লামা হযরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহ.) ও আওলাদে ওয়াইসী পীরে কামেল, মুরশিদে বরহক হযরত শাহসূফী সৈয়দ আবুল বাসার ওয়াইসী (রহ.) পবিত্র ওরস শরীফ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে।

উক্ত ওরস শরীফ সার্বিক পরিচালনা ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন আওলাদে ওয়াইছী হযরত শাহসূফী সৈয়দ জাব্বুর আলম তুষার আল-ওয়াইসী (মা.জি.আ.)।

আওলাদে ওয়াইসী হযরত সৈয়দ আজমীর আলম নিশার আল ওয়াইসী (মা.জি.আ.) বলেন, উক্ত ওরস শরীফে রহমাতাল্লিল আলানি হযরত রাসুল (সা.) সহ তাঁহার আহালে বায়াত, সাহাবায়ে কেরাম, তামাম দুনিয়ার জামে আম্বিয়া, জামে আওলিয়াসহ তামাম জাহানের সকল মুসলমান নর-নারীর রুহে সওয়াব রেছানী, সারা বিশ্বের মানুষের হেদায়েত, মুসলিম উম্মার ঐক্য ও দুনিয়া আখিরাতের কামিয়াবী এবং দেশবাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য দোয়া করা হইবে।

উল্লেখ্য, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রেমের জ্বলন্ত নিদর্শন পীরে কামেল রাসূলেনোমা আল্লামা হযরত শাহ্ সূফী সাইয়েদ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ)। যে কারণে তিনি লাভ করিয়াছেন সম্পূর্ণ বিরল “রাসূলেনোমা” উপাধি। বিশ্ববরেণ্য ফার্সী মহাকবি রাসূলেনোমা আল্লামা হযরত শাহ্ সূফী সাইয়েদ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) এর পূর্ব পুরুষগণের আদি নিবাস ছিল আরব দেশের পবিত্র মক্কা নগরীতে। তিনি সাইয়্যেদানা হযরত আলী (রহঃ) ও গাউসুল আজম হযরত বড়পীর মহীউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ) এর বংশধর। তাঁহার প্রথম পুরুষ ছিলেন কুরাইশ সম্প্রদায়ের হাসেমী গোত্র ভুক্ত। কালের প্রবাহে তাঁহার পূর্ব পুরুষের প্রধান শাখা আরব হইতে ইরাকে এবং সেখান থেকে ইরানে হিজরত করেন। সেখানে কয়েক পুরুষ বসবাস করিবার পর মূল একটি শাখা প্রথমে গজনী অতঃপর দিল্লীতে বসতি স্থাপন করেন। প্রপিতামহের ইহধাম হইতে বিদায় গ্রহণের পর হযরত ওয়াইসী পীর ক্বেবলা (রহঃ) এর পিততামহ দিল্লী পরিত্যাগ পূর্বক বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত আমিরাবাজার নামক গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। এই গ্রামেই তাঁহার পিতা ক্বেবলা জন্ম গ্রহণ করেন।

হযরত ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামের আমিরা বাজারে ১৮২০-১৮২৩ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে শুভ জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁহার পিতার নাম হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সাইয়েদ ওয়ারেস আলী (রহঃ) এবং মাতার নাম হযরত হাফেজা সাইয়েদা সাইদা খাতুন (রহঃ)। মাতার পূর্ব পুরুষগণ ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশধর। হযরত ওয়াইসী  ক্বেবলা (রহঃ) এর জন্ম গ্রহণের পূর্বের চল্লিশ দিবাগত রাতে তাঁহার পিতা মাতাকে হযরত আলী (রহঃ) ও স্বর্গরাণী মা ফাতিমা জাহরা (রহঃ) স্বপ্নে দর্শন দান করিয়া এরশাদ ফরমান যে, নব প্রসূতের নাম যেন ‘ফতেহ আলী’ রাখা হয়। নিজের পবিত্র নামের সহিত মিল রাখিয়া হযরত আলী (রহঃ) এ নামকরণের নির্দেশ দিয়াছিলেন।

শৈশব হইতেই তিনি সর্বদা সহাস্য বদনে থাকিতেন। নীরবে একাকী যেন কোন অদৃশ্য বন্ধুকে নিয়া আপন মনে খেলা করিতেন। আজানের সময় নীরব হইয়া হাত-পা নাড়া-চাড়া বন্ধ করিয়া আজানের সুমধুর ধ্বনি শ্রবণ করিতেন। রমজানের দিবাভাগে দুধ বা অন্য কিছু পান করিতেন না। কোন আহার করিতেন না। তাহাতে সকলেই বুঝিতে পারিলেন যে, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনিও রোজা পালন করিতেছেন। শৈশবে তিনি কখনো উলঙ্গ হইতে চাহিতেন না। যখন তখন মলমূত্র ত্যাগ করিয়া মায়ের পরিধানের কাপড় ও বিছানা অপবিত্র করিতেন না। জন্মলগ্ন হইতেই তাঁহার সুষমামন্ডিত সুনিয়ন্ত্রিত ও রীতিসিদ্ধ আচরণে সকলে অত্যন্ত মোহিত ছিলেন। কৈশরে পদার্পণ করার পূর্বে তাঁহার বীর পিতা তাঁহাদেরকে আল্লাহর হেফাজতে রাখিয়া বালাকোট শিখ সমরে যোগদান করিয়া ধর্ম যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন। এর কিছু দিন পরেই তিনি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সহিত আধ্যাত্মিক সিদ্ধি লাভের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের অরণ্যে গমন করেন। আল্লাহ পাকের ধ্যানে তাঁহার দিন অতিবাহিত করিতে থাকেন। ক্ষুধা পাইলে গাছের পাতা বা ফলমূল খাইতেন এবং তৃষ্ণা নিবারণে ঝর্ণার স্বচ্ছ সুপেয় পানি পান করিতেন। কখনো কখনো তাঁহাদের জন্য আসিতো স্বর্গের খাদ্য পানীয় ভরা খানচা।

রাসূলেনোমা ওয়াইসী (রহঃ) গৃহে প্রত্যাবর্তনের কয়েক মাস পরে তাঁহার মাতা তাঁহাকে নিয়া মক্কা শরীফে হিজরত করার মানসে চট্টগ্রাম হইতে কলিকাতা অভিমুখে জলপথে যাত্রা করেন। কিন্তু অতি মর্মন্তদ যে, কলিকাতার অনতি দূরে হুগলী নদীর মোহনার নিকটবর্তী এলাকায় জাহাজ ডুবি হইয়া তাঁহার মাতা পরলোক গমন করেন। আল্লাহ পাকের অসীম রহমতে হযরত খাজা খিজির (আঃ) আসিয়া হযরত ওয়াইসী (রহঃ) কে উদ্ধার করিয়া হুগলী নদীর মোহনার তীরবর্তী লোকালয়ে রাখিয়া যান। তিান অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। কোন বিষয় একবারের বেশি দ্বিতীয় বার পড়ার প্রয়োজন হইত না। মাত্র দশ বছর বয়সে তিনি পবিত্র কোরআনে ক্বারী হইয়াছিলেন। তাঁহার আধ্যাত্মিক শিক্ষার হাতে খড়ি হইয়াছিল নিজ পিতা ক্বেবলা কামেল অলি হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সাইয়েদ ওয়ারেস আলী (রহঃ) এর সান্নিধ্যে। মাত্র চার থেকে সাত বছরের মধ্যে তিনি কাদেরিয়া, চিশ্তীয়া, নকশেবন্দীয়া, মোজাদ্দেদীয়া ত্বরিকায় প্রাথমিক ভাবে দীক্ষা প্রাপ্ত হইয়া হৃদয়কাড়া পুষ্পের ন্যায় আকর্ষনীয় হৃদয়গ্রাহী সুগন্ধি বিলাইতে শুরু করেন।

রাসূলেনোমা ওয়াইসী (রহঃ) প্রথমে হুগলী শহরের হাজী মুহাম্মদ মহসিন মাদ্রাসায় বিদ্যাশিক্ষা করেন। তিনি অতিশয় মেধাবী ছিলেন বলিয়া সরকারী বৃত্তি সহকারে উক্ত মাদ্রাসায় শিক্ষা লাভ করেন। এখানে তিনি পবিত্র কোরআনের তাফসির, হাদিস শরীফ, ফেকাহ, অসুল, মান্তেক প্রভৃতি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি আরবী, উর্দু ও ফার্সী সাহিত্যে প্রভূত পান্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি প্রকাশ্য ভাবে যাবতীয় নিসবত অর্জন করিবার মানসে হাজী গাজী হযরত শাহ্ সূফী নূর মোহাম্মদ নিজামপুরী (রহঃ) এর নিকট গমন করেন। তিনি তাঁহারপবিত্র হস্তে বায়াত গ্রহণকরিয়া তাঁহার শিষ্যত্ব বরণ করেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কাদেরিয়া, চিশ্তীয়া, নকশেবন্দী ও মোজাদ্দেদীয়া ত্বরিকার খেলাফত অর্জন করেন।

রাসূলেনোমা ফতেহ্ আলী ওয়াইসী (রহঃ) মারেফাতের উচ্চ শিখরে উন্নীত হইয়া খোদাতায়ালার অসীম রহমতে প্রথমত তিনি কুতুবুল এরশাদ নামক উচ্চ পদটি লাভ করিয়াছিলেন। অতঃপর ক্রমশ আধ্যাত্মিকতার আরো উচ্চ শিখরে আরোহণ করিয়া ফরদিয়াতের মোকামে উন্নীত হইয়া ফরদ হইয়াছিলেন। পরে তিনি সমধিক উন্নত হইয়া কুতবুল ওয়াদত নামক অতি সুউচ্চ পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। একদা রমজান মাসে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কর্তৃক তিনি বঙ্গ, আসাম ও বিহারের প্রধান কুতুবুল আলম পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এরপর তিনি গাউসে জামান পদ প্রাপ্ত হন। তিনি মুহূর্তের মধ্যে আপন অস্তিত্ব ভুলিয়া হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) এর মধ্যে একাকার হইয়া যাইতেন বলিয়া তাঁহাকে ‘ফানাফির রাসূল’ নামে অলংকৃত করা হয়।

তিনি তাঁহার ৩৫ জন মুরিদ খলিফা প্রত্যেকেই রাসূল করিম (সাঃ) এর প্রেম, ভালবাসা, আনুগত্য ও আধ্যাত্মিক জগতের পূর্ণ শিক্ষা-দীক্ষা দান করিয়া পরিপূর্ণ ভাবে কামেল পীরের মর্যদা দান করেন। তাঁহার ৩৫ জন বিশিষ্ট মুরিদ ও খলিফার নাম পবিত্র ‘দিওয়ানে ওয়াইসী’ কিতাবে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন।

বেগ বাগানরো কুটিরে অবস্থান কালে রাসূলেনোমা হযরত ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) ফার্সী ভাষায় ‘দিওয়ানে ওয়াইসী’ কিতাব খানি রচনা করেন। অতি উচ্চাঙ্গের মৌলিক এই মহাকাব্যে হযরত রাসূলে করিম (সাঃ) এর এশকে মধুর প্রেমপূর্ণ, ঝংকার সম্পন্ন আধ্যাত্মিক লহরীময় গযল ও কাসিদা রহিয়াছে। রাসূলেনোমা ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) এর পবিত্র ‘দিওয়ানে ওয়াইসী’ মহাকাব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার ভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে যে, নবী করিম (সাঃ) এর প্রতি প্রেম ভালবাসার মাধ্যমে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন ও নাজাত পাওয়ার একমাত্র পথ। তিনি তাঁহার ভক্ত অনুসারী গণকে সর্বদা নবী করিম (সাঃ) এর প্রেম ভালবাসার ও যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা দিতেন।

অবশেষে অনেক ভক্ত এবং খুলাফাদেরকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে ১৮৮৬ সালে ৬ ডিসেম্বর এ মহামানব জান্নাতুল ফেরদাউসের পথে পাড়ি জমান। কলিকাতার মানিকতলা লালবাগ মহল্লায় ২৪/১ মুন্সীপাড়া লেনস্থ ২নং দিল্লীওয়ালা গোরস্থানে তার মাজার অবস্থিত। হে আল্লাহ আমাদেরকে তাদের নেক নজর কামনার তৌফিক দান করুক।


আরও খবর



ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফরিদপুরের কানাইপুরে দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, একটি পরিবারের লোকজন পিকআপ ভাড়া করে ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন।


আরও খবর



মাগুরায় ১২০ টাকায় পুলিশে চাকুরী পেল ২৩ জন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা:মিথ্যা নয় সত্য, মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেল  ২৩ জন।চাকরী হয়েছে  মিনাহাজুল আবেদিন হামজা নামে যুবকের। শুধু হামজা নয়, তার মতো আরো ২২ জন ভাগ্যবান পুলিশ বাহিনীর সদস্য হয়েছে। ৪ এপ্রিল বিকেলে মাগুরা পুলিশ লাইন্স মাঠে কনস্টেবল পদে ২০ জন পুরুষ ও তিনজন নারী কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  

মাগুরার পুলিশ সুপার মশিউদৌল্লা রেজা বলেন, পুলিশ নিয়োগে ঘুষ ও প্রতারণা ঠেকাতে এবং যোগ্য মেধাবীদের ১২০ টাকা খরচ করে পুলিশে চাকরি হয়েছে। মাগুরার পুলিশ সুপার জানান, শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদে ২০ জন পুরুষ ও তিনজন নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশে নিয়োগ পেতে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করতে চাকরি প্রত্যাশী ও তাদের অভিভাবকদের সচেতন থাকার কথা জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। অথচ বেশী দিনের কথা নয়, ২৩ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগে কম করে হলেও ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা নেয়া তেমন কষ্টের বিষয় ছিলনা বলে অনেকেই মনে করেন। এমন মতামত বিভিন্ন মহলের


আরও খবর



মাটিরাঙ্গার গোমতি ও বড়নাল ইউনিয়নে সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে অবহিতকরণ সভা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব নাজমুন আরা সুলতানা বলেছেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। সরকারী চাকুরীজীবিদের পাশাপাশি  সকল শ্রেণির মানুষের সুরক্ষায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। ১৮ বছর থেকে ৫০বছর বয়সী ব্যাক্তিরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রবাসী, বেসরকারী চাকুরীজীবি, অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী ও স্বল্প আয়ের ব্যাক্তিরা এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মাটিরাঙ্গার গোমতি ও বড়নাল ইউনিয়নে সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশীজন অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী, মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মিজানুর রহমান, বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এ বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মজীবনে উপার্জিত টাকার কিছু অংশ পেনশন স্কীমে বিনিয়োগ করে একজন নাগরিক নিশ্চিত করতে পারেন তার আর্থিক নিরাপত্তা। স্বামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আসার আহবান জানান তিনি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে মাটিরাঙ্গার সকল ইউনিয়নে অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হবে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

অবহিতকরণ সভা শেষে গোমতি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র ও আলেক চেয়ারম্যান পাড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-নচিব নাজমুন আরা সুলতানা।

অনুষ্ঠানে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন সহ ২০জন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় স্পট রেজিস্ট্রেশন করেন। এসময় তাদের হাতে পেনশন স্কীমের রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট তুলে দেন খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) নাজমুন আরা সুলতানা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।

আরও খবর



বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
রবিউল ইসলাম বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪নং নিয়ামতি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ঢালমারা গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মা, মেয়ে ও ছেলে নিহত হয়েছে। 

সূত্রে জানা যায়, ২৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১২:৩০ টার দিকে রিয়াজ মোল্লার স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০) মেয়ে রেজভী আক্তার (৯) ছেলে সালমান (৫) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহতের এই ঘটনা ঘটে। 

পার্শ্ববর্তী বাড়ির ফরিদা বেগম জানান, রিয়াজ মোল্লার  বাগানের ভিতর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের তার পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যায় সেইতার দুদিন পূর্বে ছিড়ে বিভিন্ন গাছ সহ  মাটিতে পরে ছিল। দুপুর ১২:৩০ টার দিকে রিয়াজ মোল্লার (৫) বছরের  ছেলে সালমান গাছ থেকে লেবু পারতে   গেলে প্রথমে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়, সালমানের চিৎকারে  তার মা সোনিয়া বেগম (৩০)  সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। মা ও ভাইকে খুঁজতে গিয়ে (৯) বছরের রেজভী আক্তার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পার্শ্ববর্তী বাড়ির আমেনা বেগম বিদ্যুতের তারে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে অবহিত করেন। বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার পরে তাদের নিথর মরদেহ  উদ্ধার করা হয়। রিয়াজ মোল্লার সংসারে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।  স্থানীয়দের দাবি বাকেরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় মা ছেলে মেয়ের সহ  তিনজন নিহত হয়েছে। 

বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ ১ বাকেরগঞ্জের জোনাল অফিসের  ম্যানেজার (ডিজিএম) গোবিন্দচন্দ্র  শনিবার বিকেলে আমাদের সময়কে জানান  তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ঢাকা থেকে তাদের একটি তদন্ত টিম  গঠন করা হয়েছে এবং বরিশালে  তাদের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে তদন্ত টিমের রিপোর্ট পেয়ে প্রকৃত  ঘটনা উন্মোচন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পরপরই  ফোর্সসহ  ঘটনাস্থলে তিনি গিয়েছেন। এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। নিহতের  ঘটনায় অপমৃত্যু  মামলা রুজু  করা হবে।

আরও খবর



‌জাতির পিতা বেঁচে থাকলে দেশ আরও উন্নত হতো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ আরও বহু আগেই  উন্নত হতো জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সব সময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।

সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি বলেও জানান তিনি।


আরও খবর