Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

১২ হাজার কর্মসংস্থান হবে মেট্রোরেলে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেট্রোরেলে নতুন করে ১২ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে মোট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক। এই ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুতগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। মেট্রোরেলের কল্যাণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমরা দেখেছি ডিএমটিসিএলের আওতায় ১২ হাজার প্রকৌশলী ও মাঠ-প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের অহংকারের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হলো। নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন জনগণ। এজন্য সবাইকে শুভেচ্ছা। এর মধ্য দিয়ে আজ আবার প্রমাণিত হলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়।

তিনি বলেন, প্রতি মেট্রো ট্রেনে নারীদের জন্য আলাদা বগি থাকবে, আলাদা টয়লেট থাকবে। বাচ্চাদের পরিচর্যা করার সুযোগ থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুরোপুরি ফ্রি চলাচল করবেন। এই রেল চালুর ফলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে। অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হবে।  আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা হবে এই মেট্রোরেল।

আর আগে বেলা ১১টার দিকে উদ্বোধনী ফলকের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) জনসম্মুখে উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে আছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রতিরূপ উন্মোচনের পর মোনাজাত করা হয়।

পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের পর স্বাগত বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে, বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকিট এবং মেট্রোরেলের প্রথম দিনের কাভার উন্মোচন করেন। সেই সঙ্গে উন্মোচন করেন ৫০ টাকার স্মারক নোট। এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে উঠেন। এ সময় দুই শতাধিক ব্যক্তি তার সঙ্গী হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাককর্মী, রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।


আরও খবর



বুয়েট যাতে জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত না হয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বুয়েট যাতে জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত না হয়,বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আমি রাজনীতি করি, সে জন্য বুয়েটে আমি যেতে পারব না? এটা কোন ধরনের আইন? আমরা তদন্ত করে দেখছি, এ ধরনের কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।

রোববার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেন এবং সেই নীতিতেই আমরা এগিয়ে চলছি। আজকে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার করতে গিয়ে আমাদের আমাদের অনেক কর্মী দণ্ডিত হয়েছে। তারপর বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেননি।

তিনি বলেন, এখানে সেদিন যা ঘটেছে, কেউ তো ওখানে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি পালন করতে যায়নি! সেখানে তো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আজকে আমি রাজনীতি করি, সে জন্য বুয়েটে আমি যেতে পারব না? এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নিয়ম?

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা পরিষ্কার একটা কথা বলতে চাই, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি-জঙ্গিবাদের কারখানায় রূপান্তরিত করা হবে, পরিণত করা হবে এটা যাতে না হয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি, এ ধরনের কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।


আরও খবর



জমে উঠেছে ফুলবাড়ীর ঈদ বাজার, ক্রেতাদের ভিড়ে সরব মার্কেটগুলো

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমে উঠেছে ঈদবাজার। মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের ব্যস্ততা। সব বয়সি মানুষের মধ্যে এখন ঈদবাজার নিয়েই যত ভাবনা।ঈদকে সামনে রেখে বিপণি বিতান, মার্কেটগুলো এখন নতুন নতুন দেশি- বিদেশি হরেক রকম জামা-কাপড়ে ঠাসা। দোকানগুলো ক্রেতার ভিড়ে জমজমাট।

ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড়, জুতো, প্রসাধনীসামগ্রী কিনতে ব্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের কর্তারা ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। শপিংমলগুলোতে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যস্ত চলছে বেচা-কেনা। ঈদের জামায় এবার মেয়েদের আলিয়া কাট, সারারা, নাইরা চলছে বেশি। ছেলেদের দৃষ্টি বেশি পাঞ্জাবির দিকে।

কোহিনুর আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘পরিবারের সদস্যের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাপড় কিনেছেন। গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। যা সামর্থ্যে কুলাচ্ছে তাই কেনার চেষ্টা করছেন।’ছোট্ট রিক্তা মনি বলে, ‘তার মার সাথে মার্কেটে এসেছে। আলিয়া কাট জামাটা দেখছে। এটা তার খুব পছন্দের। তার বান্ধবীরাও এটা কিনেছে। এই জামাটাই সে নেবে বলে মনোস্থির করেছে।’

ব্যবসায়ীরা জানান, ১০ রমজানের পর থেকেই তাদের ব্যবসা জমে উঠছে। বর্তমানে অত্যস্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিভিন্ন মার্কেটে এখন চলছে জমজমাট বেচাকেনা। শিশু, পুরুষ ও মহিলাদের পছন্দের কাপড়-চোপড়ের দোকানগুলোতে এখন বেশ ভিড়। সামনের মাসের শুরুতে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে।

লাকি বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মার্কেটগুলোতে টাঙ্গাইলের সুতি, জামদানি, জর্জেট এবং সিল্ক শাড়ির চাহিদা এবার অনেক বেশি। জে আর ফ্যাশনের জিহাদ বলেন, আলিয়া কাট জামার এবার ব্যাপক চাহিদা।

এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে ফুটপাতগুলোতেও। বলতে গেলে ফুটপাতেই এখন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের ঈদের প্রধান বাজার।শ্রমিকশ্রেণির অনেকেই চাঁদ রাতে অথবা ১-২ দিন আগে কেনাকাটা করে। স্বল্প বেতনভোগী ও খেটে খাওয়া মানুষকেও আপাতত কেনাকাটায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সার্বিক নিরাপত্তা পরিবেশে বিকিকিনি চলছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এছাড়াও পৌরসভা থেকে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই এজন্য সব বয়সী মানুষ ঈদবাজারে আগে থেকেই ঝুঁকে পড়েছেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন,ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘেœন চেকাকেনা করতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। পৌরশহরের পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো ধারণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মার্কেটগুলোতে পুলিশি নজরদারী চালানোহচ্ছে।


আরও খবর



বাহরাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাহরাইনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে,  বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক হচ্ছে যে, দুই লাখের অধিক বাঙালি দেশটিতে কর্মরত আছেন। বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতেই আজকে আলোচনা হয়েছে। দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল গৌদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনা সময় সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ও বাহরাইনের নাগরিকদের মধ্যে কোনো ধরনের পার্থক্য করেননি দেশটির বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খরিফ। এ দেশটির সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক হচ্ছে যে, আমাদের ২ লাখের অধিক বাঙালি বাহরাইনে কর্মরত আছেন।

তিনি বলেন, আমাদের বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতেই আজকে আলাপ-আলোচনায় সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি তার পরিচয়পত্র দিতে এসেছিলেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করছেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ছিল খুবই আন্তরিক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে আমরা একমত হয়েছি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আলাপ আলোচনায় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন যে, কোভিডের সময় যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচলন ছিল, তখন কিন্তু সেখানকার বাদশাহ কোনো পার্থক্য করেননি একজন বাহারাইনির ও একজন বাঙালির মধ্যে। সেক্ষেত্রে বোঝা যায়, দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক আছে।


আরও খবর



রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৪০

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় চলা এ অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি জানান, অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৪৬২টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৫১ গ্রাম হেরোইন, ১০৬ কেজি ৬৫০ গ্রাম ৮০০ পুরিয়া গাঁজা, ৩০ গ্রাম আইস ও ১১৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জন জীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ২০২৪ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, দেশের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সকলে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈসু এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্ধতার মেল বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দুর করবে, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আদর্শ নাগরিক হিসেবে কোনো বিভেদ নয়, কোনো হানাহানি নয়, শান্তি, শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্র সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের সকলেরই দেশের উন্নয়নে কাজ করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পরে রঙীন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বর্ণাঢ্য এক র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তা উপস্থিত সকলের সাথে উপভোগ করেন।

এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর,পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  মোঃ শানে আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  মোঃ দিদারুল আলম, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর