Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

১০ বছর চাঁদা দিলেই মাসিক পেনশন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বজনীন পেনশন বিলের প্রতিবেদন জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। আজ রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিলটি পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন।

সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরে দেশের সব নাগরিককে পেনশন–ব্যবস্থার আওতায় আনতে এই আইনি কাঠামো তৈরি করছে সরকার। গত ২৯ আগস্ট ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল–২০২২’ জাতীয় সংসদে তোলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান। সবার জন্য পেনশন চালু করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল।

জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন বলে বিলে বলা আছে। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও এর আওতায় রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

তবে মাসিক পেনশন–সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর আগ্রহী ব্যক্তিকে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন। চাঁদার হার কত হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। আইন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি নির্ধারণ করবে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন পাবেন। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। একজন পেনশনার আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন।


আরও খবর



পেঁয়াজের সাদা ফুলে সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:সবুজ কান্ডের ডগায় কদমের মতো দেখতে সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মিরাপুর ফসলের মাঠ। যা প্রকৃতির মায়াজালে আবৃত্ত এক অনন্য দৃশ্য, যেখানে সাদা ফুলের সমারোহ নয়, বরং এক অপার সম্পদের আহ্ধসঢ়;বান। এই ফুলের প্রশান্ত সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’, যা বাংলাদেশের কৃষকদের অর্থনীতিতে এক অপূর্ব সংযোজন। পেঁয়াজের বীজের উচ্চ বাজার মূল্যের কারণে কৃষি জগতে ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত। যেখানে কৃষকের পরিশ্রম ও প্রকৃতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় এই অমূল্য ‘কালো সোনা’।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর, মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া গ্রামে চাষ করা হয়েছে পেঁয়াজের বীজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হবে দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে।   

সরেজমিনে উপজেলার মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল।শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। অনেকে আবার পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। 

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন জানান, গত বছর পেঁয়াজ বীজের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আগ্রহ নিয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। তিনি আরো বলেন, “এই এলাকায় আমিই প্রথম দানা চাষ শুরু করি। এই ফসল চাষে যা খরচ হয় তার থেকে দ্বিগুণ লাভ থাকে। বর্তমানে আমার দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষকই এই ফসলের চাষ করছে।” ছেলে-মেয়েকে লেখা-পড়ার খরচ চালাচ্ছি, আল্লাহর রহমতে এই ক্ষেত করে আমি ভালো আছি।” 

ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে থাকি। এই ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ বছর ১বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছি। 

শাহাগোলা ইউনিয়নের হাতিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মো. উজ্জল হোসেন বলেন, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে আমি পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছি। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। বিভিন্ন রোগবালাইয়ের জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেড় লাখ টাকার ওপরে বীজ বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জনান, উপজেলায় চলতি অর্থবছওে ২১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা যাতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করতে পারেন, এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, পিঁয়াজের বীজ চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন পিঁয়াজ চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পিঁয়াজ চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎফুল্ল।কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তিনি মনে করছেন।


আরও খবর



ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ দুর্নীতির মামলায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত,শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন।

এদিন আসামি মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলাটি বিশষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে আদালতে আসেন ড. ইউনূসসহ অন্যান্য আসমিরা।

চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

গত ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু:আহত ২৫,গ্রেফতার ৬

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে পৃথক ঘটনায় এক নারীসহ ৩জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলো- জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২২), একই গ্রামের মৃত নইমুল্লার ছেলে আব্দুল আউয়াল (৫৫) ও দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ধল গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধু ফাহিমা বেগম (৩৭)। আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ১০টায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার থলেরবন্দ গ্রামের রাস্তার পাশে ওই গ্রামের আশিক আলী বাড়ির সামনে একটি ঘোড়া গাছের সাথে বেঁধে রাখে একই গ্রামের শের আলী। ওই সময় আশিক আলীর ছেলে ফরিদ আলী তার বাড়িতে যাওয়ার সময় ওই বেঁধে রাখা ঘোড়াটি তাকে লাথি মারলে সে আহত হয়। এঘটনার জের ধরে দু‘পক্ষের মধ্যে প্রথমে কাটাকাটি, পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ভাবে সমাধান করে দেন। কিন্তু তারই জের ধরে রাত ১২টায় দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ডাকাডাকি করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর এই সংঘর্ষের উভয়পক্ষের ২৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় নুর মোহাম্মদ (২২) কে রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আব্দুল আউয়াল (৫৫) কে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া  হচ্ছে।

এমতাবস্থায় আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা আহত আব্দুল আউয়াল ও গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ২টায় নুর মোহাম্মদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে দুইপক্ষের ৬জনকে গ্রেফতার করেছে। এঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থল ও আশেপাশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

এদিকে সকাল ১১টায় দিরাই উপজেলার ধল গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধু ফাহিমা বেগম (৩৯) তার ১৮ মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহণ করা মোটর সাইকেল যোগে পাশে রনভূমি গ্রামের যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকেল থেকে রাস্তা পড়ে যায়। এঘটনায় ওই গৃহবধু তার মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়। সেই সাথে তার শিশুকন্যাও। পড়ে  স্থানীয়রা মা ও মেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর গৃহবধু ফাহিমাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। আর আহত শিশুকন্যাকে ভর্তি করা হয়।

শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোক্তাদির হোসেন ও দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন  চৌধুরী পৃথক ঘটনায় ৩জনের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এব্যাপারে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবর্জনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।

৭ এপ্রিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসঙ্গেথে’ যথার্থ ও সময়োচিত হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের জয়লাভ স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত পনেরো বছরে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা-বাস্তবায়ন করেছে। নতুন নার্সিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং চিকিৎসকদের পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ বেড ও ওটি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ১৪ হাজার ২৮৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিকে সহজতর করা হয়েছে। ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সব চ্যালেঞ্জসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত সেবার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের পথ সুগম হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ সরকার বৈশ্বিক এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকারকে অন্যতম মানবাধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করায় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিপুল অর্জনকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং ‘বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর



রাইডার পার্টনারদের জন্য ফুডপ্যান্ডার ইফতার আয়োজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকার সব জোনে কর্মরত রাইডার পার্টনারদের জন্য ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ। আজকের এই ইফতার আয়োজনে ৩০০ জনের বেশি রাইডার অংশ নিয়েছেন। ঢাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘প্যান্ডা রাইডার গ্র্যান্ড ইফতার ২০২৪’ নামে রাইডার পার্টনারদের জন্য বড় পরিসরে এ আয়োজন করা হয়।

রমজান মাসে ইফতারের জন্য গ্রাহকের পছন্দের খাবার সময়মতো পৌঁছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন রাইডার পার্টনাররা। তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ এ আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রাইডার পার্টনারদের মধ্যে সৌহার্দ্যবোধ তৈরি ও তাদের কাজের স্বীকৃতির জন্য বিভিন্ন সময় নানা ধরণের উদ্যোগও নেয় ফুডপ্যান্ডা।ইফতারের পর রাইডার পার্টনারদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন গেমসের আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেওয়া হয়।

ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের অপারেশনস ডিরেক্টর আন্দালিব হাসান বলেন, আমাদের রাইডার পার্টনারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও তাদের দায়িত্বশীলতার প্রতি আমরা গভীরভাবে সম্মান জানাই। বিশেষ করে রমজান মাসে রাইডাররা আরও কঠোর পরিশ্রম করেন। তাদের কাজের প্রতি স্বীকৃতি জানাতে ‘প্যান্ডা রাইডার গ্র্যান্ড ইফতার ২০২৪’ আয়োজন করেছে ফুডপ্যান্ডা। রাইডারদের একত্রিত করা ও তাদের আনন্দ উদযাপনের সুযোগ তৈরির জন্য আমরা আনন্দিত।

জীবিকা নির্বাহের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা, বিমা ও দক্ষতা উন্নয়নে অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে রাইডারদের কল্যাণের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছে ফুডপ্যান্ডা৷ এছাড়া সম্প্রতি রমজান মাসের প্রতি শুক্রবার রাইডারকে দেওয়া গ্রাহকের ‘টিপ’ এর সমপরিমাণ অর্থ যোগ করে দ্বিগুণ ‘টিপ’ রাইডারকে বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা।


আরও খবর