স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিএনজি স্টেশনে মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস চুরির সাথে শংশ্লিষ্টতার  অভিযোগ পাওয়াগেছে তিতাস গ্যাসে কর্মরত ড্রাইভার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের কোটি কোটি টাকা প্রতিমাসে লোপাট হচ্ছে মিটার টেম্পারিং করার কারনে।মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে তিতাসে দুর্নীতি হয়। কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী ঘুষের বিনিময়ে মিটার টেম্পারিং করে গ্রাহকের প্রকৃত বিল গোপন করে থাকেন।ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে তিতাস গ্যাসের রাজস্ব নির্ধারনের জন্য লাগানো মিটারগুলো টেম্পারিংয়ের কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।ড্রাইভার মিজানুর রহমান ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার হতে শুরু করে রাজধানীর টঙ্গী আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত প্রায় সবগুলো সিএনজি ফিলিং স্টেশনে স্থাপিত গ্যাসের মিটার টেম্পারিং করেন।এবং এভাবে সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলোতে মিটার টেম্পারিং করে প্রতিমাসে ২৬ লক্ষ টাকা মাসোহারা আদায় করেন বলেও অভিযোগ পাওয়াগেছে।এভাবে মাসোহারার টাকা সে বিভিন্ন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা করে বাকী টাকা নিজে নেন।তিতাসের সাধারন একজন ড্রাইভার পদে চাকুরী করেও সে বিলাসী জীবন যাপন করেন।তিনি চলেন প্রাইভেট কারযোগে,তার স্ত্রীর জন্য আলাদা গাড়ী রয়েছে।রাজধানীর বাসাবো এলাকায় তার ছয়তলা বিশিষ্ট বিলাস বহুল বাড়ী রয়েছে,এছারাও সেখানেই তার আরো একটি তিনতলা বাড়ী আছে।তার বেশ কয়েকটি হায়েস গাড়ী রয়েছে সেগুলো রেন্ট এ কারের মাধ্যমে ভাড়ায় চলে।এক সময় এই ড্রাইভার মিজানুর রহমান তিতাস গ্যাস এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে সখ্যতা ছিল তার।নানা সময়ে মিজানুর রহমান তাকে মদ ও নারী সাপ্লাই দিত।এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের অনেকেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।মিজানুর রহমান একসময়ে তিতাসের ডেমরা অফিসে চাকুরী করতেন,সেই সুবাদে তার সাথে মিটারিং টীম ও সিলিং টিমের সদস্যদের সাথে বেশ ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়।সেই সম্পর্কের সুবাদে সে মিটার টেম্পারিং কাজে বেশ পটু হয়ে ওঠে।কখনো কোন কারনে সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মিটার টেস্টিংয়ের জন্য এ অফিসে আসলে আল মামুন নামের দ্বায়িত্বরত অফিসার টেস্টিং রিপোর্ট ভাল দেখিয়ে থাকে।মিটার টেম্পারিং এর কারনে তিতাসের প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা লোকসান হলেও এসব বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি তিতাসের উর্ধতন কর্মকর্তারা।এ বিষয়ে মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলতে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।